মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৬মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সড়ক উদ্বোধন করবেন। এর জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারি সেনা কর্মকর্তা ১৬ ইসিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মেহেদী হাসান তিনি বলেছেন শুরুতে নানা চ্যালেঞ্জিং নিয়ে এ সড়কের কাজ করতে হয়েছে। এসড়কের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
এ সড়কটি বিশ্ব মানের করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ সড়কের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে জানান সেনা কর্মকর্তা।
একপাশে দাঁড়িয়ে আছে সবুজের সমারোহ নিয়ে উঁচু পাহাড়। অপর পাশে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বালিয়াড়ির বুকে। এই দু’য়ের বুক চিরে চলে গেছে সু-প্রশস্ত পিচঢালা পথ। আর এটাই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কোলঘেঁষে তৈরী হওয়া কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ
তিনি বলেন, শুরুতে এ সড়কের কাজ করতে নানা জটিলতা তৈরী হয়। তবে সড়কের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। এ সড়কের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার জীবন মানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এ সড়কটিতে নানাউদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বমানের মেরিন ড্রাইভ সড়ক হিসেবে তৈরীর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সড়কের উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি শেষ এবং এ সড়কের উদ্বোধনের পর কক্সবাজার একটি সমৃদ্ধশালী পর্যটন শিল্প হিসেবে প্রকাশ পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
এ সড়কে ১৭ টি ব্রীজ, ১০৮ চি কালর্ভাট রয়েছে। যেখানে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
আলাপ কালে জালিয়া পালং ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম বলেন মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শেষ হওয়াতে এখন স্থানিয় মানুষ খুব খুশি কারন তাদের জমির মুল্য ২/৩ গুন বেড়ে গেছে। যেমন আমার নিজের ও বেশ কিছু জমি আছে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম থেকে আসা এক ব্যাবসায়ি ২ শতক জমি ১৫ লাখ টাকা দিয়ে কিনতে রাজি হয়েছে যা আগে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ও কেউ কিনতে রাজি ছিল না। আমার মত শত শত মানুষ মানুষ শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ কারন উনার উন্নয়নের কারনে আজকে আমাদের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মান কাজ শেষ হওয়ায় ঐ সব এলাকার জমির বিপুল মুল্য বাড়া সহ শিল্পঞ্চল হিসাবে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশের এলাকার গুরুত্ব বাড়বে বলে মনে করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের সদস্য প্রকৌশলী বদিউল আলম।
তিনি জানান আগে কক্সবাজার টেকনাফ মহাসড়ক হয়ে টেকনাফ যেতে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগতো। সেখানে বর্তমানে মাত্র ১ ঘন্টা ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে টেকনাফ যাওয়া যাবে তাও কোন যানযট ছাড়া। এতে শিল্প উদ্দ্যেক্তারা এখানে বিনোয়োগ করতে আগ্রহী হবে। তবে আমার মতে মেরিন ড্রাইভ রাস্তা দিয়ে যদি ভারী যান বাহান বেশি চলাচল করে তাহলে আমরা যেটা আশা করছি এক্সক্লোসিভ জোন সেটা বাধাগ্রস্থ হবে। এই রাস্তা দিয়ে শুধু মাত্র পর্যটক এবং ছোট গাড়ী গুলো চলাচল করতে দিলে ভাল হবে।
আলাপ কালে কক্সবাজার উখিয়া টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আবদু রহমান বদি বলেন মেরিন ড্রাইভ শুধু একটি সড়ক নয় এটি একটি নতুন দিগন্ত এর মধ্যে দিয়ে একটি নতুন যাত্রা শুরু হবে কক্সবাজারের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে। আমার জানা মতে মেরনি ড্রাইভ সড়কের দু পাশে বহু আগে থেকে শত শত বিনিয়োগ কারী অনেক আগে থেকে জমি কিনে রেখেছে যেটা এতদিন তারা ঠিক মত ব্যবহার করতে পারে নি। কারন মানুষ না আসলে উন্নয়ন দেখাবে কাকে ? এখন পর্যটক আসবে সাধারণ মানুষ আসবে এখন সেই সব জমির উন্নয়ন হবে সেখানে হোটলে মোটেল সহ শিল্প কারখানাও হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এই মেরিন ড্রাইভ সড়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বপ্ন তিনি অনেক আগেই চিন্তা করেছিলেন মেরিন সড়ক করে বিদেশেরআদলে কক্সবাজারের পর্যটন সম্ভবনাকে আরো বহুগুনে বাড়িয়ে তুলার। তাই আগামীতে যে কো নির্বাচনে শেখ হাসিনারপাশে কক্সবাজারের সর্বস্থরের মানুষকে থাকারজন্যও তিনি আহবান জানান।