মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র নগরী কক্সবাজারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাল্য কাল থেকে। আর এ স্বপ্ন সৃষ্টি করেছিলেন তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন শেষ আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ এবং ১৯৬৪ সালে ছোট্টকালে পিতা– মাতার সাথে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে এসেছিলাম। তখন আমার পিতা সৌন্দর্য্যময় সমুদ্র সৈকতকে নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা বলতেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এরপর সমুদ্র সৈকততে আরো বেশি আকর্ষনীয় করতে আমার ভেতরে স্বপ্ন তৈরী হয়। এ স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করতে বদ্ধ পরিকর।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বোয়িং চলাচলের উপযোগী হয়েছে, এখানে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে সরকারি ফ্লাইট আসবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
কক্সবাজারকে একটি অবহেলিত এবং অনুন্নত এলাকা উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছিলাম। তখন দেখেছি এ এলাকার জীবন মান কত খারাপ। যোগাযোগ ব্যবস্থার ভয়াবহতা। বিশ্বের দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার বালুকাময় সৈকত। এর সৌন্দর্য আরো আকর্ষণী করতে যা যা করার দরকার তাই করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রেজুখালী ব্রীজ নিমার্ণ, সৈকতের কলাতলী থেকে দুই কিলোমিটার ওয়ার্ক ওয়ে নিমার্ণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মেরিনে ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কেবল পর্যটনের বিকাশ নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবন মানের অর্থ–সামাজিক পরিবর্তন হবে।
সড়কটি নিমার্ণের জন্য সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সড়ক নিমার্ণ করতে গিয়ে পাহাড় ধ্বসে নিহত ৬ সেনা সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইনানী পৌছেন। এসময় সেনাবাহিনীল চৌকস দলেল সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। আদিবাসী পরিবেশিত নৃত্যে স্বাগত জানানো হয় শেখ হাসিনাকে। পরে সেখানেই ২৮ কিলোমিটার পয়েন্টে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ওখানে সেনা বাহিনী আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সেতু মন্ত্রী Ievq`yj Kv‡`i গণপূর্ত মন্ত্রী মোশারফ হোসেন, পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ–বাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন মোহাম্মদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্সাল আবু এসরার সহ সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।