কক্সবাজারে ইয়াবা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রলীগ নেতা খুন

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃইয়াবা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে কক্সবাজারে উখিয়ার পালংখালীতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, এবং পাচারকারী সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে এক পক্ষের ছাত্রলীগের স্কুল সভাপতি মুজিবুর রহমান জাবু (১৬) খুন হয়েছে। ঘটনায় অপর জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে  রোববার উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম বটতলীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানিয়েছেন সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ব্যাপক হারে ইয়াবা পাচারের ঘটনায় উক্ত ছাত্রলীগ নেতা জাবু তার বড় লুৎফর রহমানের সহযোগিরা প্রতিপক্ষ বদিউর রহমান তার ভাই মিজানুর রহমানে সাথে ইয়াবা সংক্রান্ত বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঘটনার সুত্রপাত হয়। ঘটনার জের ধরে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী বাজারে প্রকাশ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিপক্ষ ইয়াবা পাচারকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বটতলী চৌধুরী পাড়া গ্রামের জাফর আলমের ছেলে মুজিবুর রহমান জাবু(১৬) তার সহপাঠি ইউনুছ বাপ্পী (১৭) তার চাচা আনোয়ার হোসেনসহ ৬জনকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক ভাবে জখম করে। আহতদের সন্ত্রাসীর কবল থেকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় উখিয়া হাসপাতালে জরুরী বিভাগে কর্তৃকব্যরত ডাক্তার প্রবতি চাকমা আহত মুজিবুর রহমান জাবুকে মৃত ঘোষনা করে এবং সে প্রতিমধ্যে মারা যায় বলে জানান। অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা করেছে।

উখিয়া থানা পুলিশ স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উক্ত এলাকার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে বদিউর রহমান তার ভাই মিজানুর রহমান, একরামুর রজমান, ওই এলাকার ছগির আহমদের ছেলে শাহরিয়ার শাকিল, নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ নুর, তার ভাই ইসমাঈল পূর্ব ফারিরবিল এলাকার আবু ছৈয়দের ছেলে আজিজুর রহমান সহ ১০/১২জনের সন্ত্রাসী অতর্কিত ভাবে প্রতিপক্ষ লুৎফর রহমান এবং তার ভাই জাবুসহ ৪জনকে হামলা করে। এতে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ কায় কিসলু জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পালংখালী ইউনিয়নের বটতলী, আনজুমানপাড়া, রহমতের বিল, ধামনখালী বালুখালী পয়েন্ট দিয়ে বানের পানির মতো ইয়াবার চালান এদেশে অনুপ্রবেশ করছে। এই ইয়াবা পাচারকে কেন্দ্র করে গত ১মাসের ব্যবধানে উক্ত ইউনিয়নে একাধিক সংঘর্ষ, হামলা, মামলা খুনের ঘটনা ঘটেছে

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, পালংখালীতে দুইটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করা জন্য বা ফাঁদে ফেলানোর জন্য সব সময় তৎপর রয়েছে। এছাড়াও পালংখালীতে চিংড়ী ঘের দখল,বেদখল নিয়ে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আমার দাবী প্রকৃত ঘটনার বের করে দোষি ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হউক