মাহাবুবুর রহমান,কক্সবাজার
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্দেগ্যে কক্সবাজারের তারকা হোটেল প্রসাদ প্যার্যাডাইজ সহ সুগন্ধা পয়েন্টে ১৫ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। ৮ জুন সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার ভুমি পংকজ বড়–য়া ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাহমিলুর রহমান। এ সময় কর্মকর্তারা বলেন উচ্ছেদ হওয়া জমি গুলো সম্পূর্ন সরকারি এখানে দীর্ঘদিন ধরে ্একটি প্রভাবশালী মহল অবৈদভাবে দোকান বা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। তাই এগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। এবং এ অভিযার অব্যহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশাল বোলডোজার সাথে বিপুল শ্রমিক নিয়ে যখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা শহরের আলোচিত সুগন্ধা পয়েন্টে আসে তার আগে থেকেই অনেকে তারাদের মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে অর্থ্যৎ অভিযান সম্পর্কে তাদের আগে থেকে ধারনা ছিল। ্এ সময় রাজিয়া বেগম নামের এক মহিলার সাথে কথা বলে জানা যায় সে সহ তার পুরু পরিবার রোহিঙ্গা, তাদের আনা হয়েছে কয়েক মাস আগে জমি দখল করে পাহারা দিতে। তার কাছে জানতে চাইলে আরো বলেন আমাদেরকে কয়েক দিন আগে থেকে বলেছিল যেকোন মুহুর্তে ভাংতে পারে। তাদের এখানে চুক্তি ভিত্তিক আনা হয়েছিল জানিয়ে যারা এনেছে তাদের কাউকে দেখছে বলে ও জানান। ফোন দিলে ধরছে না। পরে জানা গেছে তারা সহ আরো কয়েক টি পরিবার এখানে টাকার বিনিময়ে জমি দখল করতে এসেছে।
পরে অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি প্রশাসন সব কিছু গুড়িয়ে দিয়েছে, এ সময় ১৫ টি দোকার,ঘর এবং অবৈধ স্থপনা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পরে খ্যতনামা হোটেল প্রসাদ প্যার্যাডাইসের ভেতরে থাকা সরকারি খাম জমিও উদ্বার করে প্রশাসন।
এ ব্যপারে সহকারী কমিশনার ভুমি পংকজ বড়–য়া বলেন আমরা হোটেল সীগাল সহ কয়েক টি হোটেল পরিমাপ করে দেখেছি সেখানে অসংখ্য সরকারী খাস জমি আছে যা সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে তারা ভোগদখল করছে। ইতি পূর্বে অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাস জমি উদ্বার করা হয়েছে। ৩ মাস আগে প্রসাদ প্যার্যডাইজকে নোটিশ দিয়েছিলাম নিজেরা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কথা কিন্তু সরায় নি তাই আমরাই উচ্ছেদ করছি। তিনি বলেন কেউ সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখলে রাখতে পারবে না। এ সময় ভুমি অফিসের কাননগো, সার্ভেয়ার,তহসিলদার সহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিল।