রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করেছে ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্র। গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে স্কুলের অফিস কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে। মারধরকারী শিক্ষার্থীর নাম এহসানুল আলম (জয়)। মরারধরকারী শিক্ষার্থীর বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। তবে ওই শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেন তার বাবা।
মারধরের শিকার কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিউল আলম করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় ওই শিক্ষার্থী আমাকে ফোন করে কোনও কারণ ছাড়াই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এর কিছুক্ষণ পর আমার অফিস কক্ষে এসে আমাকে গালাগালি করতে থাকে এবং অফিসের টেলিফোন ও আমার মোবাইল নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে তাকে প্রতিরোধ করতে গেলে সে আমার মুখে ও ঘাড়ে ঘুষি মারতে থাকে। পরে তাকে অফিসে আটক করা হলে সে তার ৮-১০জন সহপাঠীকে ফোন করে নিয়ে আসে কিন্তু ততক্ষণে প্রক্টরকে জানানো হলে প্রক্টর এসে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর বাবা সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি শুনেছি খেলার মাঠে একটি বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। পরে অধ্যক্ষ রুমে ডাকলে রুমের গেটেই অধ্যক্ষের কথা কাটাকাটি হলে তাকে ঘাড় ধরে গেট থেকে বের করে দেন। পরে আর কি হয়েছে আমি জানিনা। তবে আমার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে আমাকে ডাকা হলে আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে অধ্যক্ষ শিক্ষার্র্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, অধ্যক্ষকে মারধর করায় ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।