একাত্তরলাইভডেস্ক: পূজার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করি কিন্তু যখন চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পূজা শেষ হয়ে যায় তখন খুব খারাপ লাগে। টেরই পাই না পূজা কখন শেষ হয়ে যায়। পূজার আনন্দটা সব বয়সেই থাকে।ছোটবেলায় পূজার আনন্দ আর এখনকার পূজার আনন্দ এক নয়। ছোটবেলায় নিজেই আনন্দ করতাম আর এখন পরিবারের লোকজনের আনন্দ দেখে ভালো লাগে। বাসায় বসে থাকলেও পূজার আনন্দ অনুভব করি।ছোটবেলায় পূজাতে অন্যরকম একটা আমেজ ছিল। নতুন জামা-কাপড় কিনব, পরব। আর এখন কাকে কাকে জামা-কাপড় কিনে দিব সেটা নিয়ে ভাবনা থাকে। আর কিনে দিতে পারলেই অনেক বেশি আনন্দ লাগে।পুরান ঢাকার ছেলে আমি। ছোটবেলা থেকে আমি পুরান ঢাকায় বড় হয়েছি। এখানকার লোকজন শুধু দুর্গাপূজা না যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান সবাই মিলে-মিশে করে। যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্য ধর্মের মানুষজনরাও অংশ নেয়, আনন্দ করে। আমার বাসার পাশেই পুজা মণ্ডপ হতো। সেখানে তো যেতামই। এর পর শাখারি বাজারে গিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বেড়াতাম। তাছাড়া জগন্নাথ হল, রামকৃঞ্চ মিশন, বাংলা বাজারে বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে বেড়াতাম। আমার তেমন বন্ধু-বান্ধব ছিল না। নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঘুরতেই ভালো লাগত। বয়সের ভারে এখন আর রাতভর পূজা মণ্ডপে সময় কাটে না। এখন খুব একটা কোথাও যাওয়া হয় না। যান-জটের কারণেই মূলত কোথাও যাওয়ার ইচ্ছাটা থাকে না। এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো মণ্ডপে যাওয়া হয়নি।
এখন আর রাতভর পূজা মণ্ডপে সময় কাটে না : প্রবীর মিত্র

October 9, 2016