এএসপির ঝুলন্ত লাশ ৮ ঘণ্টা পর নামানো হলো

রাজশাহী প্রতিনিধি: ঘটনা জানাজানি হওয়ার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাব্বির আহমেদ সরফরাজের (৩৩) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে পুলিশ অফিসার্স মেসের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে নেওয়া হয়। বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ আসার পরেই লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আত্মহত্যার পরে সরফরাজের লাশ সকাল থেকেই ঝুলে ছিল নগর পুলিশ অফিসার্স মেসের একটি কক্ষে। দোতলার ওই পুলিশ অফিসার্স মেসের নিচ তলার একটি কক্ষেই শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি ঘুমাতে যান। পরে সকাল ১০টার দিকে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান ওই মেসের কর্মচারীরা। পরে অন্য কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, সাব্বিরের বাবা রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাবেক পুলিশ কমিশনার ওবাইদুল্লাহ ঢাকা থেকে এসে ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখার পরে মরদেহটি উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। বাবা না আসা পর্যন্ত সাব্বিরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা যাবে না জানানো হয়েছিল। কারণ তার বাবাও ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ৩১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এবং তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, মহানগরীর শিমলা পার্ক এলাকায় আরএমপির একটি অফিসার্স মেস আছে। সেখানে একটি কক্ষে মাঝে মাঝে গিয়ে বিশ্রাম করতেন। শনিবার সকালে ওই কক্ষেই তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাব্বিরের লাশ পাওয়া গেছে। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর গ্রামে। সরফরাজের স্ত্রী ও তিন বছরের সন্তান রয়েছে।