আরিফুল গণি লিমন সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার হরিন চড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি বেদখলে করে বেগুন চাষ করার অভিযোগ পাওযা গেছে । এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চড়মভাবে ব্যহত হচ্ছে । জানা গেছে ৩৩ শতক জায়গার উপর ১৯৯৫ সালে এই বিদ্যলয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু গত প্রায় ১ বছর ধরে এলাকার প্রভাবশালী নওজেশ আলী আকন্দ বিদ্যালয়ের ১৩ শতক জমি নিজের দাবী করে আসছে । গত কিছুদিন দিন আগে সে দাবীকৃত ১৩ শতক জমি দখলে নিয়ে বেড়া দিয়ে গাছ ও আবাদি জমি তৈরী করেছে বলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছানোয়ার হোসেন জানান ইতিমধ্যেই নওজেশ আলী আকন্দ বিদ্যালয়ের ১৩ শতক জমি দখল কওে নিয়েছে এবং বেড়া দিয়ে গাছ ও বেগুনের চারা লাগিয়েছে । এতে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা খেলা ধুলা করতে পারছে না শুধু তাই নয় ছাত্র ছাত্রীদের ভয় ভীতিও দেখানো হচ্ছে । শিক্ষকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । গত ১মাস আগে তাকে নওজেশ আলীর লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ করেন । তিনি জানান এই সব ঘটনার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলের মধ্যেই আতংক বিরাজ করছে । তিনি আরও জানান ইতি মধ্যেই এই স্কুলের ভবন নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ৬৮ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা বরাদ করেছে। ভবন নির্মানের কাজ চলমান থাকলেও বেদখল কৃত জমির কারনে নির্মান কাজে বিঘœতার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যপারে উল্লাপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি বলে তিনি জানান ।
এব্যপারে উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম জি মাহমুদ ইজদানীর সাথে মুঠো ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি শূনেছেন বলে জানান । তিনি বলেন ইতিমধ্যেই উক্ত জমির সীমানা ম্যাপ করার জন্য উল্লাপাড়া এসিল্যান্ড বরাবরে আবেদন করা হয়েছে । এসিল্যান্ডের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে । অথচ বিদ্যালয়ে সঙরক্ষিত নথি থেকে জানা যায় যে বর্তমান শিক্ষা অফিসারের আগে যিনি সেই শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর ফিরোজ উপজেলা শিক্ষা অফিসার (চঃ দঃ) উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ তদন্ত করে নওজেশ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন ।এ বিষয়ে এলাকার ইসমাইল হোসেন মন্ডল বলেন নওজেশ আলী স্কুলের নামে ১৩ শতক জমি লিখে দেয় ঠিকই তবে এর পরিবর্তে অত্র এলাকার মোক্তার হোসেন ৩০৭ নং খতিয়ানে , ৮৬৯ ও ৬৫৭ নং দাগে নওজেশের ছেলের নামে লিখে দেয় । যা বর্তমানে নওজেশের দখলে রয়েছে ।বিষয়টি সম্পর্কে নওজেশ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন সে জমি দিয়েছিল মেয়ের চাকুরীর জন্য অথচ এখন তার মেয়েকে চাকুরী না দিয়ে অন্যদের চাকুরী দেয়ায় সে জমি ফেরত নিয়েছে ।
উল্লাপাড়ায় স্কুলের জমি দখল করে বেগুন চাষ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চড়মভাবে ব্যহত
