একাত্তরলাইভ ডেস্ক: বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে এরশাদকে দেওয়া তিন বছরের দণ্ড বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দুটি এবং এরশাদের একটি আপিল নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে ১২ এপ্রিল এ মামলার শুনানি শেষে ৯ মে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এই মামলায় গত ২৩ মার্চ এরশাদের করা আপিলের রায়ের জন্য দিন নির্ধারিত থাকলেও তা ঘোষণা হয়নি। রায়ের আগে এ সাজা বৃদ্ধিতে দুই যুগ আগে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল আদালতের নজরে আসে। যেহেতু তিনটি আপিলই একই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই এরশাদের আপিলের রায় আলাদাভাবে দেওয়া হলে ‘দ্বান্দ্বিক অবস্থা’ তৈরি হতে পারে; এ কারণে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনটি আপিলের নথি প্রধান বিচারপতির নিকট পাঠিয়ে দেন।
পরে প্রধান বিচারপতি গত ২৭ মার্চ এই বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য পাঠান। গত ৩০ মার্চ সেই আপিল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। সেই তিনটি আপিলের শুনানি শেষে আদালত রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।
গত বছর ৩০ নভেম্বর সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের করা আপিল শুনানি হাইকোর্টে শুরু হয়। গত ৯ মার্চ সেই আপিলের শুনানি শেষে ২৩ মার্চ রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তত্কালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা দায়ের করে। যার আর্থিক মূল্য মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা।।
এই মামলায় ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত ওই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন এরশাদ। একই বছর রাষ্ট্রপক্ষ সাজা বৃদ্ধির জন্য দুটি আপিল করে।
উপহার দুর্নীতি মামলায়ও খালাস এরশাদ
