ইভটিজিংয়ে প্রতিবাদ : অধ্যক্ষসহ ২ শিক্ষককে গুলির চেষ্টা

একাত্তরলাইভডেস্ক: সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ কলেজে ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ে প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের বখাটে কয়েক ছাত্রের বিরুদ্ধে।বুধবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দাবিতে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।কলেজ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়াগ কলেজমাঠে বুধবার ছাত্রীদের শরীর চর্চা করানোর সময় পাশে দাঁড়িয়ে ব্যবসা শিক্ষা শাখার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক সুকর্ণ ও শাকিল উত্ত্যক্ত করছিল। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষের নজরে এলে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। পরে দুপুরের দিকে শিক্ষার্থী সুকর্ণ ও শাকিল, বহিরাগত সন্ত্রাসী তুষার, ফারুকসহ কয়েকজন পিস্তল ও কাটা রাইফেল নিয়ে অতর্কিত অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করে।অধ্যক্ষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বখাটেরা অধ্যক্ষের শরীরে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়। এ সময়  কলেজের শিক্ষক জাকির হোসেন তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তাকেও গুলি করতে উদ্যত হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের চিৎকারে সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ সাহায্যে এগিয়ে এলে তাকেও তারা গুলি করতে উদ্যত হয়। এ সময় শিক্ষকদের চিৎকারে শিক্ষার্থী ও অন্য শিক্ষকরা অধ্যক্ষের কক্ষে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বখাটেদের গ্রেপ্তার দাবিতে আজ দুপুর থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জয়াগ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-নোয়াখালী সড়ক অবরোধ করে। পরে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও হারুনুর রশিদ জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় অল্পের জন্য তারা প্রাণে বেঁচে গেছেন।কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আইয়ুব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. ইসমাঈল মিয়া জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।