ইতালিতে পাওলো জেনতিলোনি সরকারের মন্ত্রী সভা ঘোষনা

জাকির হোসেন সুমন ,  ইতালী : ইতালির নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন পাওলো জেনতিলোনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ১৮ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আগের মন্ত্রিসভার পিয়ের কার্লো পাদোয়ানই বহাল রয়েছেন। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন গত সরকারের সরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনো আলফানো। নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেনতিলোনি আগের প্রশাসনে সামান্যই পরিবর্তন আনবেন বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল। নতুন মন্ত্রিসভায় সেই ধারণারই বাস্তবায়ন লক্ষ করা গেছে । ৬২ বছর বয়সী জেনতিলোনিকে রেনজির অনুগত বলে বিবেচনা করা হয়। তিনিও রেনজির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা। সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে গণভোটে শোচনীয় হারের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি গেল সপ্তায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন।। এরআগে ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা জেনতিলোনিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন। আর এরপর সংক্ষিপ্ত এক ভাষণে জেনতিলোনি বলেন, দেশকে স্থিতিশীল ও আশ্বস্ত রাখার জন্য দ্রুত সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা তিনি উপলব্ধি করতে পারছেন। তিনি বলেন, আগের প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গেও কাজ করবেন। এর অর্থ, তিনি বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে পুনর্বহাল করবেন। এদিকে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধা ৬:৪৫ মিনিটে ইতালির পার্লামেন্টে নয়া সরকার অনুমোদনে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ফাইভ ষ্টার মুভমেন্ট ,লেগা নর্দ , ফরসা ইতালিয়া সহ বিরোধী দলগুলো নতুন সরকারের আস্থা ভোট থেকে বিরত থাকবে বলে জানিয়েছে । তবে বিরোধীদলগুলো দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাসে দেশটির পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর জেনতিলোনি পরবর্তী নির্বাচনের আগে ১৪ মাস সময় পাবেন। তবে অনেকের বিশ্বাস নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ভূমিকা এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কমিয়ে আনতে  সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে ইতালিতে ৪ ডিসেম্বর গণভোট হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরএআইয়ের বুথফেরত জরিপে দেখা যায়, ৪২ থেকে ৪৬ শতাংশ ভোটার প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজির ডাকে সাড়া দিয়ে সংবিধান সংস্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন; বাকি ৫৪ থেকে ৫৮ শতাংশ ভোটার তাকে ‘না’ বলে দিয়েছেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী রেনজি। তিনি বলেন, ভোটের ফল তিনি মেনে নিয়েছেন। ইতালির ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ।