ইতালিতে কঠোর নিরাপত্তায় বর্ষবরণ

জাকির হোসেন সুমন ,  ইতালী :
কঠোর নিরাপত্তা এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই জাকজমকপূর্ণভাবে নতুন বছরকে বরণ করে  নিলো ইতানলিয়ারা। ইতালির ছোট-বড় সব শহরেই রাত ১২টার সাথে সাথেই চারিদিকে শুরু হয় আতশবাজির মহড়া। নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবাই মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে আসে। সকলেই আতশবাজি, শ্যাম্পনের গ্লাসে চুমুক দিয়ে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। রেস্তোরাঁগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অফিস আদালত ছিল বন্ধ, আর দোকানপাট বিকাল থেকেই বন্ধ হতে শুরু করে, সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাটে লোকজন কমতে থাকে। রাত ১২বাজার ৫ মিনিট আগেই সব লোকজন নীরবতা ভেঙে রাস্তায় নেমে আসে। রাত ১২টা বাজার সাথে সাথেই শুরু হয় চারিদিকে আতশবাজির ঝলকানি।

রাজধানী রোম, বাণিজ্যিক রাজধানী মিলান, জলকন্যা খ্যাত ভেনিস, বোলনিয়া, ফিরেন্সা, নেপলি, তুরিন, পালেরমো, কোমো প্রত্যেকটা শহরেই ছিল আতশবাজির ঝলকানি এবং নামিদামি শিল্পীদের কনসার্ট। ভেনিসে বসবাস রত বাংলাদেশী রা ও মেতে উঠে উৎসবে  সন্ধ্যা হতে গভির রাত অবদী নাচ গান ও আতশবাজি ফুরিয়ে আনন্দ করে ভেনিস বাংলা স্কুল হল রুমে ।  আর প্রত্যেক শহরেই নেয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে নেয়া হয় এই বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা। রবিবার রাতে বড় কোন প্রকার অনাঙ্খাকিত ঘটনা না ঘটলেও ফিরেন্সাতে একটি বোমা পাওয়া যায়, আর সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে পুলিশের বোমা এক্সপাট বিভাগের একজন সদস্য আহত হয়।

এছাড়া আতশবাজি ফুটাতে গিয়ে ইতালির বিভিন্ন শহরে ৪৬ জন আহত হয়েছে।

ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিজেদের মত করে উদযাপন করে নববর্ষ। তারাও গ্রুপে গ্রুপে বার, রেস্তোরাঁ কেউ কেউ আবার বাসায় আয়োজন করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। খাবারের তালিকায় বিভিন্ন প্রকার দেশীয় পিঠা, ভুনাখিচুড়ী, বিরানিসহ হরেক প্রকার খাবার।

সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয় ইতালি প্রবাসী বাঙালিদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।