আ.লীগের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় : মোশাররফ

একাত্তরলাইভডেস্ক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় নেমে গেছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই কারণে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়।’ক্ষমতাসীনরা ‘৫ জানুয়ারির মতো’ আরেকটি ‘প্রহসণের নির্বাচন’ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এর আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের দাবিদার নয়, তিনি স্বৈরচারী ও ফ্যাসিবাদী নেত্রী। ফলে এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নেই। এরা প্রতিবাদের ভাষা বুঝে না।’আওয়ামী লীগের সৃষ্ট শূন্যতা পূরণ করতেই বিএনপির জন্ম হয়েছে জানিয়ে দলটির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘অতীতের মতো এবারো বিএনপির দায়িত্ব দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা। তাই ক্ষমতাসীন স্বৈরচারী সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষায় রাজপথে নেমে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে চায় দাবি করে তিনি বলেন, এই সরকার তাদের নির্যাতনের সকল রের্কড ভঙ্গ করে দেশের মানুষকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে নির্বাচন করতে না পারে, সেজন্য তাদের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।’গুম, খুনের ভয়ে সাধারণ মানুষ বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশকে পরাধীন করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজকে গণতান্ত্রিক লেবাসে আওয়ামী লীগ স্বৈরচারী হয়ে গেছে। তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) স্বৈরাচার বলতে কষ্ট হয়। কারণ এদেরকে সাথে নিয়েই বিএনপি একসময় স্বৈরচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল।’আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের জনসমর্থন নয়, আছে গুলির সমর্থন। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাছাইয়ে আসুন রাজপথে মিটিং মিছিল করি, দেখবেন কাদের মিটিং মিছিলে জনগণের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়। গুলির সমর্থনবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির সামনে উড়ে যাবে।’বিএনপি ভারত বা আমেরিকার সমর্থন আশা করে না জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির সমর্থন এদেশের জনগণ। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মির্জা আব্বাসকে ভোট দেবে। কারণ তারা আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন।’সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, নগর বিএনপির সদস্য মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম. যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরীন খান, ওলামা দল সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।