অনলাইন ডেস্ক : প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লার আজ জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে দিনটিতে তিনি পরিবারের সঙ্গেই আনন্দের মধ্য দিয়ে সময় কাটাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় দুই বছর করোনায় অনেকটাই ঘরবন্দি সময় কাটানোর পর আগামী ১৯ নভেম্বর রুনা লায়লা লন্ডনে যাচ্ছেন মেয়ে তানি ও দুই নাতির সঙ্গে সময় কাটাতে। যাবার আগমুহূর্তে তাই ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি।
জন্মদিন এবং জীবনের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘জন্মদিন এলেই ছোটবেলার কথা, বাবা-মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। এখন তো আসলে জন্মদিন ঘিরে তেমন কিছু করাও হয়ে উঠে না। ঘরের মধ্যেই দিনটিকে বিশেষায়িত করার চেষ্টা থাকে। পরিবারের সঙ্গেই সময় কেটে যায়। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে, এক জীবনে আমি অনেক পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর অসীম রহমতে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। সত্যিই আর চাওয়ার কিছু নেই। যে যশ, যে নাম, যে খ্যাতি হয়েছে আমার, তাতেই আমি পরিপূর্ণ, আলহামদুলিল্লাহ। এখন শুধু কিছু সুর সৃষ্টি করে যেতে চাই, নতুনদের কণ্ঠে সেসব সুর তুলে দিয়ে যেতে চাই। আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন, আমার পরিবারের সবাইকে ভালো রাখেন, এই দোয়া চাই।’
রুনা লায়লা ১৭টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। পেয়েছেন স্বাধীনতা পদকসহ বহু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। রুনা লায়লার একজন সংগীতশিল্পী নয়, নৃত্যশিল্পী হওয়ার কথা ছিল। টানা চার বছর করাচির বুলবুল ললিতকলা অ্যাকাডেমির ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শেখেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গানের মাঝেই থেকে যান। ৫৭ বছরের বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে। ১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ সিনেমায় প্রথম গান করেন। ‘গুড়িয়াসি মুন্নি মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ৯০ দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে এক দিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।
রুনা লায়লার বিশেষ সাক্ষাৎকার আজ সকাল ৭টায় মাছরাঙা টিভিতে প্রচার হয় ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানে। তার নিজের গাওয়া সর্বশেষ একক মৌলিক গান ছিল ‘ফেরাতে পারিনি’। এটি গত বছর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি লিখেছেন কবির বকুল, সুর করেছেন রুনা লায়লা নিজেই। সংগীতায়োজন করেছিলেন রাজা ক্যাশেফ।
এই প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে কনা, হৈমন্তী, ইউসুফ, ইমরান, লুইপা, কোনাল, ঝিলিকের কথা রুনা লায়লা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। তারা নিয়মিত ভালো করার চেষ্টা করছে বলেও অভিমত প্রকাশ করেন।