অনলাইন ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে আরও ১২ মিলিয়ন সুইস ফ্রা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা সফররত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আঁলা বেরসে। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক আচরণের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি জানান, এই সংকটের সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের প্রশ্ন জড়িত। মানবতা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে এই সংকটের সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে সুইজারল্যান্ড। আজ সোমবার তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের পর করবী হলে তাঁর সঙ্গে যৌথ বিবৃতি প্রদানকালে এই কথা জানানো হয়।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এলেন বারসের মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর আজ বিকেলে দুদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক রড এবং এতে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বাসসকে একথা জানান। এর আগে আজ দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তাঁর কার্যালয়ের টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান।
বারসে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ৪ দিনের সরকারি সফরে রোববার ঢাকা পৌঁছেছেন। সুইজারল্যান্ড ১৯৭২ সালের ১৩ মার্চ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ঘনিষ্ট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন এই সফরের লক্ষ্য বলে সুইস দূতাবাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। একই দিন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যদিয়ে সুইস প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সুইস প্রেসিডেন্ট আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সুইস প্রেসিডেন্ট আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
বারসে মঙ্গলবার বক্সবাজার জেলা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। সুইস প্রেসিডেন্ট সুশীল সমাজ ও বাংলাদেশে কর্মরত সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ঢাকা আর্ট সামিটও পরিদর্শন করবেন। এই সামিটের পার্টনার হচ্ছে সুইজাল্যান্ডের আর্ট কাউন্সিল ‘প্রো হেলভেসিয়া’। সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরবেন বারসে।