আমার যদি কিছু হয় ধরে নিবেন ওসমান পরিবার করিয়েছে- শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :  এমপি সেলিম ওসমানের দ্বারা লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ঘুষ গ্রহনের মামলায় জামিন পেয়ে বুধবার বিকেল পাঁচটা ৫৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, আমি আমার উপর জঙ্গী, হেফাজত, জামায়াত, আওয়ামীলীগ বা বিএনপি’র নামে হামলার আশঙ্কা করছি। তবে যারাই হামলা করুক না কেন আমি আগে থেকে বলে রাখছি আমার কিছু হলে অবশ্যই ধরে নিবেন ওসমান পরিবার এটি করিয়েছে। তিনি তার নিরাপত্তার জন্য আবারো পুলিশ মোতায়েনের দাবী জানান।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত তার অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার সুভাষ ঘোষ জানান, আদালত জামিন মঞ্জুর করার পর জামিনের কপি আদালতের মাধ্যমে বিকেল নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এসে পৌছায়। পরে সেটি যাচাই বাছাই করে বিকেলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এদিকে সাতদিন কারাভোগের পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্ত সাংবাদিকদের জানান, মিথ্যা মামলায় জেল খটিয়ে আমাকে অপমান করা হয়েছে। এর আগেও প্রভাবশালী ওসমান পরিবার আমাকে কিভাবে অপমান করেছিলো তা দেখেছেন। জেল থেকে মুক্তি পেলেও আমি আতংকে আছি। কারন আমার পুলিশ প্রেটেকশন তুলে নেয়া হয়েছে। একজন বডিগার্ড দেয়া হয়েছিলো তা এখন দিবে কি তা নিয়ে সন্দিহান আছি। আমার উপর জঙ্গী, হেফাজত, আওয়ামীলীগ বা বিএনপি’র নামে হামলা হতে পারে। তবে যারাই হামলা করুক না কেন, আমি যদি লাশ হয়ে যাই, আমি আগে থেকে বলে রাখছি আমার কিছু হলে অবশ্যই ধরে নিবেন ওসমান পরিবার এটি করিয়েছে। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

আমার পুলিশ প্রোটেকশন প্রয়োজন। কিন্তু পুলিশ প্রোটেকশন পাবো কিনা জানিনা। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন ওসমান পরিবারের পক্ষে। একদিকে ঘুষ গ্রহনের মিথ্যা মামলায় তারা আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়। আরেক দিকে সেলিম ওসমান আমাকে লাঞ্ছিত করার ভিডিও থাকার পরেও পুলিশ তার পক্ষে প্রতিবেদন দেয়। অপরাধ করেও সে বাইরে থাকে। আর আমাকে যেতে হয় জেলে। তবে অন্যদিকে আমি দেশ রত্নও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই অপমান ও হয়রানির সুবিচার চাই। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির প্রতি দাবী জানান তিনি। তবে আবার অন্যদিকে আওয়ামীলীগ,বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের অনেক মানুষই আমার উপর যে জুলুম ওসমান পরিবার করছে তাকে ঘৃনা করছেন। আমার আইনজীবি এডভোকেট শাখাওয়াৎ হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুমসহ সাংবাদিকরা অসাধারন ভূমিকা রেখেছেন। যারা আমার উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।