নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের স্ত্রী সবিতা হাওলাদার জানিয়েছেন, শ্যামল কান্তি ভক্তের সাথে আপোষ রফা করার জন্য এমপি সেলিম ওসমান লোক পাঠিয়েছিলেন। আপোষ করলে ঘুষ গ্রহনের মামলা তুলে নেয়া ও শ্যামল কান্তি ভক্তের পরিবারকে মোটা অংকের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো।
বুধবার রাতে টেলিফোনে সবিতা হালদার জানান, গত ১৪ মে সেলিম ওসমানের মামলার কয়েকদিন আগে এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে নগরীর কিল্লারপুল এলাকায় অবস্থিত বিবি মরিয়ম স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন শ্যামল কান্তি ভক্তের নগর খানপুর এলাকার বাসায় গিয়েছিলেন। এসময় শ্যামল কান্তি ভক্তও বাসায় ছিলেন। জসিম শ্যামল কান্তি ভক্ত ও সবিতা হাওলাদারকে বলেন, এমপি সেলিম ওসমানের সাথে আপোষ হয়ে গেলে শ্যামল কান্তি ভক্তের কোনো ঝামেলা থাকবেনা। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ঘুষ গ্রহনের মামলা তুলে নেয়া হবে। তার পরিবারকে মোটা অংকের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। ফলে তারা বেশ ভালো থাকতে পারবেন। না হলে তাদের অনেক ঝামেলায় পড়তে হবে।
জবাবে শ্যামল কান্তি ভক্ত ও তার স্ত্রী সবিতা বেগম জসিম উদ্দিনকে জানান, এমপি সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা তারা করেননি। এটি সরকারের মামলা। এছাড়া যেখানে একজন শিক্ষককে কানে ধরে ওঠানো বাসানো হয়েছে, দুই হাতে এমপি সেলিম ওসমান শ্যামল কান্তি ভক্তকে চর মেরেছেন সেখানে আপোষ কিভাবে হবেন ? এরপর জসিম উদ্দিন চলে যান।
সবিতা বেগম বলেন, ঐদিন আপোষ হয়নি বলেই আজ এভাবে তাকে জেলে যেতে হলো। অথচ এমপি সেলিম ওসমান জামিন পেয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিবি মরিয়ম স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমি শ্যামল কান্তি ভক্তের বাসায় যাইনি। তার বা তার স্ত্রীর সাথে আমার কোনো কথাও হয়নি।