আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে ৫ মামলা

অনলাইন ডেস্ক :   বহুল আলোচিত আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলার আসামী করা হয়েছে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ এবং তার ২ ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দের পর এর মালিকদের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা কাস্টমস হাউজে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে ৩টি, তার ভাই গুলজার আহমেদের বিরুদ্ধে একটি এবং আরেক ভাই আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেছি। তিনি আরও বলেন, কাস্টমস হাউজের বিচারিক ক্ষমতা আছে। তারা বাদী- বিবাদিদের ডেকে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে রায় দিতে পারবেন।
মইনুল খান বলেন, কাস্টমস আইনে এই পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হতে পারে বা পণ্য মূল্যের আড়াই গুণ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তবে তারা জেল দিতে পারবেন না। আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো-রুম থেকে জব্দ স্বর্ণালঙ্কারের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ফৌজদারি আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো-রুম থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা রোববার ১৫ দশমিক ১৩ মণ স্বর্ণালঙ্কার এবং আনুমানিক ১০ কোটি টাকা দামের ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করে। এরপর ঢাকা কাস্টম হাউজের গুদাম কর্মকর্তার মাধ্যমে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। আটক এসব সোনা ও হীরার দাম প্রায় ২৭০ কোটি টাকা বলে শুল্ক গোয়েন্দাদের ভাষ্য।
দিলদার ও তার ২ ভাই ২ দফা জিজ্ঞাসাবাদে এসব সোনা-হীরার বৈধতার কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয় বলে মইনুল খান জানিয়েছিলেন। এছাড়া আপন জুয়েলার্সের মালিকরা আয়কর ও ভ্যাটের দলিলে যে পরিমাণ স্বর্ণ মজুদ থাকার কথা বলেছেন, তার সঙ্গে শো-রুমগুলো থেকে আটক স্বর্ণের পরিমাণের বিস্তর ফাঁরাক থাকার অভিযোগ রয়েছে।