আন্দোলনে নামার আহ্বান গয়েশ্বরের

একাত্তরলাইভডেস্ক: দেশপ্রেম আর আবেগ দিয়ে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য সবদিক দিয়ে ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই সরকার অন্য দেশকে খুশি করতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মান করছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। ‘সুন্দরবন : সর্বনাশের আরেক নাম রামপাল বিদ্যুকেন্দ্র’ শীর্ষক গোলটেবিলের  আয়োজন করে বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক উইং।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে ভারতীয় ব্যাংকের চড়া ঋণে। আবার সব দিক দিয়ে অর্ধেক সুবিধাও নেবে ভারত। বিয়ষয়টা খুবই রাজনৈতিক। একে বন্ধ করতে চাইলে রাজনৈতিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে তা আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনেরও ক্ষতি হবে।“আসলে যারা এটা করছেন, কেবল ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতাধরদের সন্তুষ্ট রাখার জন্যই করছেন। এই পরিস্থিতিতে সুন্দরবন বাঁচাতে মাঠে নামার কোনো বিকল্প নেই”, বলেন বিএনপির এই নেতা।দেশ নিয়ে বাজি খেলা চলছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের চেয়ারপারসন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ব্যাপারে অনেক কথা যুক্তি তুলে ধরেছেন। পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট নাগরিক, সবাই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করা হচ্ছে দুর্নীতি করার জন্য। কোটি টাকার কাজ এক লাখ টাকায় দেয়া হচ্ছে বিদেশি কোম্পানিকে। মূলত তাদের খুশি করতেই এসব করা হচ্ছে।’বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে গোল টেবিলে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আজিজুর রহমান, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেন খান, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।