আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতাঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা ৫০শয্যার হাসপাতালের অফিস সহকারী প্রেমানন্দ দাসের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত অফিস সহকারীকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা মরিয়া। একটি দূর্নীতি ঢাকতে আরেকটি দূর্নীতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে। নাম না প্রকাশের শর্তে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারী স্বাস্থ্য কর্মীরা অভিযোগে বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলা ৫০শয্যার হাসপাতালের অফিস সহকারী প্রেমানন্দ দাসের বিরুদ্ধে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের বেতন ভাতার টাকা তাদের স্ব-স্ব ব্যাংক একাউন্টে না দিয়ে তিনি নিজে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে কর্মীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করে আসছিলেন। কর্মীদের বেতন ভাতা পরিশোধের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অযুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন অফিস সহকারী প্রেমানন্দ দাস। তার আর্থিক অনিয়মের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. আলতাফ হোসেন অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে ১৮ অক্টোবর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পাঁচ দিনের মধ্যে ওই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্যরা হলেন মেডিকেল অফিসার ডা. অভ্র মিত্র ও সেনেটারী ইন্সপেক্টর সুকলাল শিকদার। ওই তদন্ত কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত অফিস সহকারী প্রেমানন্দ দাসের উপস্থিতিতে (১৮ অক্টোবর) অভিযোগকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্বাস্থ্য কর্মীরা অভিযোগে বলেন, “সার্ভিস বুক” অফিস সহকারী প্রেমানন্দর এখতিয়ারে থাকায় তার সামনে বসে তারা অভিযোগ সম্পর্কে সত্য কথা বলতে পারেননি। এমনকি তদন্ত কমিটির সদস্যদের কম্পোজ করা অফিস সহকারী প্রেমানন্দ দাস কর্মীদের কাছ থেকে বেতন ভাতার কোন টাকা কেটে রাখেনি মর্মে একটি ছাপানো কাগজের আদলে একটি কক্ষে তাদের লিখিত দিতে হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযুক্তর পক্ষ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের ডেকে প্রেমানন্দ দাসের সামনে তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় উল্লেখিত অভিযোগ পরে শোনানো হয়েছে। পরে সুনির্দ্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগ উল্লেখ করে অভিযোগকারীদের কাছে ওই ব্যাপারে তাদের লিখিত বক্তব্য চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ পর্যায়ে জানিয়ে আগামী শনিবার (২২ অক্টোবর) রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. আলতাফ হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি কিভাবে তদন্ত করছে তা তিনি জানেন না। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি। কাউকে অনিয়মের আশ্রয় নিলে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
আগৈলঝাড়া অভিযুক্ত অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
October 20, 2016