আগৈলঝাড়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শিক্ষকরা দু-গ্র“পে বিভক্ত, চিন্তিত অভিভাবকরা

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতাঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলামের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে শিক্ষকরা দু-গ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্নীতির তদন্তে আসলে তার সামনে বসে শিক্ষকরা দু’গ্র“পে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আলাদা আলাদা ভাবে শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য নেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.সোহরাব হোসেন বাবুল ও সাধারন সম্পাদক নবীন কুমার বাড়ৈসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষকরা ডিজির কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন যে তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে শিপ কার্যক্রম, রুটিন মেনটেন্স, প্রাক-প্রাথমিক উপকরণ ক্রয়, লেট্রিন মেরামত, ক্ষুদ্র মেরামত কার্যক্রমের অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে ১ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও শিক্ষক বদলী বানিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। এই লিখিত অভিযোগের বিরুদ্ধে রয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তার অনুসারী সাবেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফয়েজ মিয়া ও সদর মডেলের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ শতাধিক শিক্ষকরা। শিক্ষকদের গ্র“পের কারনে বিদ্যালয়ে লেখার-পড়ার মান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। পক্ষে-বিপক্ষের অনেক শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে না গিয়ে উপজেলা সদরে এসে বিভিন্ন দোকানে আড্ডা দেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের কারনে ডিজি প্রতিনিধি মো. আব্দুল মান্নান আগৈলঝাড়ায় তদন্তে আসেন। তিনি জেলা পরিষদ ডাক বাংলো কক্ষে শিক্ষকদরে বক্তব্য শোনার সময় শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষে-বিপক্ষে দু’গ্র“পে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে তিনি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য নেন। পরে ডিজির প্রতিনিধি মো.আব্দুল মান্নান অভিযোগকারী শিক্ষকদের কয়েকটি স্কুলের শিক্ষা উপকরণ, লেট্রিন মেরামতসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ডিজি প্রতিনিধি মো. আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত শেষ হলে আমি ডিজি স্যারের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পেশ করব। পরে স্যারে ব্যবস্থা নিবেন।