আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতাঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও উদাসীনতার কারনে এলজিইডি বিভাগের অর্থায়নে ১কোটি ২২লাখ টাকার সদর হাটে প্রবেশের জনগুরুত্বপূর্ন নির্মানাধীন ব্রিজের কাজ ৯ মাসে ৩০ভাগও শেষ হয়নি। দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরেরও কোন মাথা ব্যথা নেই।
সংশ্লিষ্ট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর বন্দরে প্রবেশের জন্য থানা কোয়ার্টার সংলগ্ন খালের উপর ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১কোটি ২২লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রিজের দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রে পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠী উপজেলার মেসার্স সাইফুদ্দিন ট্রেডার্সকে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী কার্যাদেশ দেয়া হয়। কার্যাদেশ পেয়েও ঠিকাদার শুস্ক মৌসুমে কাজ শুরু না করে বর্ষা মৌসুমে জুলাই মাসে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সম্পূর্ন খালে বাঁধ দিয়ে ব্রিজের কাজ শুরু করে। ঠিকাদার কর্তৃক অবৈধভাবে সম্পূর্নভাবে খালে বাঁধ দেয়ায় বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষনে এলাকার পানি নিস্কাশন না হওয়ায় উপজেলা সদরসহ কয়েটি গ্রামের কয়েক হাজার চাষির মাছের ঘের, পান বরজ, সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে। গত ৯মাসে ব্রিজের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৩০ ভাগ। কাজের গতি মন্থর হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মান শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। ওই বাঁধের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন শতাধিক লোকজন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ন ব্রীজের নিমার্ন কাজ দ্রুত শেষ না করায় জনগনের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। এ ব্যাপারে ওই কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারের ম্যানেজার সম্প্রতি সাইটে এসেছিলেন। তারা শীঘ্রই কাজ শুরু করবেন বলে জানান। উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন ঢাকায় একটি প্রশিক্ষনে রয়েছেন জানিয়ে বলেন, কাজের ৩০থেকে ৪০ভাগ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য বলা হয়েছে। আগামী সেচ মৌসুমের আগেই বাঁধ কেটে পিলারের কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।