আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বিরোধপূর্ন জমিতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪জন রক্তাক্ত জখম হয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলার ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রতিপক্ষ হামলাকারীরা ঘটনার ২দিন পর পাল্টা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামে।
শনিবার সরেজমিনে এলাকাবাসি, আহত ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের মৃত হরিপদ দাসের পুত্রদের সাথে একই বাড়ির মৃত সতীস চন্দ্র দাসের পুত্রদের দীর্ঘ দিন যাবত জেএল ৮৬ নং বাকাল মৌজার ৪৯ নং খতিয়ানের ৩০৫৫ ও ৩০৫৮ নং দাগের ৩৩ শতক বাড়ির পাশের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এ নিয়ে বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মৃত হরিপদ দাসের জোষ্ট্য পুত্র তপন দাস (৩৫) অভিযোগ করেন, গত ২৪ নভেম্বর সকালে বিরোধীয় জমির বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটতে যান প্রতিপক্ষ মৃত সতীস চন্দ্র দাসের পুত্র গবিন্দ দাস (৪৫), দীপক দাস (৪০), গোপলদাস (৫০)সহ তার ভাড়াটিয়া লোকজন।
এ সময় তিনি বাঁধা দিলে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার ডাকচিৎকারে তার ভাই সুমন দাস (২৮), অশোক দাস (৪২), বৃদ্ধা মা মুকুলী রানী দাস (৬৫), স্ত্রী অনিতা দাস (২২) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও একই ভাবে হামলা চালিয়ে জখম করে।
রক্তাক্ত অবস্থায় তপন দাস, সুমন দাস, অশোক দাস, মুকুলী রানী দাস ও অনিতা দাসকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই তপন দাসের ভাই গৌতম চন্দ্র দাস বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন, যার নং-৯ (২৪-১১-১৮ ইং)। মামলার বাদি গৌতম চন্দ্র দাস অভিযোগ করে বলেন, মামলা দয়েরের ৮ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আসামিদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার ভাইদের, মা ও বৌদিকে হাসপাতাল ত্যাগের হুমকি দিচ্ছে।
এ ছাড়া আমাদের হয়রানি করার জন্য ঘটনার ২দিন পর ২৬ নভেম্বর আমাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।