আগৈলঝাড়ায় গণপূর্ত বিভাগের ঝুকিপূর্ন ভবনে ৩টি দপ্তরের কার্যক্রম চলছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতাঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে সরকারী অফিসের কাজকর্ম। এ ভবনটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় সরকারী ৩টি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সাধারন লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৫ সালে উপজেলা আদালত ভবন ও হাজতখানা হিসেবে বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তর এ ভবনটি নির্মান করেন। এরপর উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম স্থগিত হলে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পরে। ফলে ভবনের বিভিন্নস্থানে পাস্টার খসে বড় বড় ফাঁটল ধরায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হয়ে পরেছে ভবনটি। উপজেলা সদরে কোন কার্যালয় ও কার্যক্রমের সুবিধা না থাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও সেটেলমেন্ট অফিস ও পলী দারিদ্র বিমোচন সহ ৩টি অফিসের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে ভাড়ার বিনিময়ে। গণপূর্ত বিভাগ ভাড়া আদায় করলেও দীর্ঘদিনে তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি তারা। সংস্কারের জন্য সংশিষ্ট অফিসগুলো বছরের পর বছর আবেদন করলেও গণপূর্ত বিভাগ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সেটেলমেন্ট অফিস জানায়, ২০০২ সালের ১ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৩টি কক্ষ মাসিক ৫০টাকা ভাড়া হিসেবে বরাদ্দ দেয় গণপূর্ত বিভাগ। ওই সময় থেকে এপর্যন্ত ভাড়া পরিশোধের মাধ্যমে প্রতি মুহুর্তে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও জনগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। ভবন সংস্কারের জন্য ২০০৮ সালের ৩ মার্চ, ২০০৯ সালের ২০ মে, ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ৩ দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে পৃথক পৃথক লিখিতভাবে আবেদন করেন সেটেলমেন্ট অফিস। ওই ভবনটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে চারদিকের দরজা-জানালা ভাঙ্গা, ছাদের পাস্টার উঠে গিয়ে রড বের হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পরে সেটেলমেন্ট অফিসের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডের কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান ভাঙা দরজা-জানালা ও ছাদে কোন রকমে পলিথিনের কাগজ দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এসব অফিসে কাজের জন্য প্রতিদিন আসা লোকজন চরম আতঙ্ক ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে তারা কাজ করছেন। ভবন নির্মাণের ৩০ বছর পেড়িয়ে গেলেও এর সংস্কার না করায় এটি এখন পরিত্যক্ত ভবন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার পরেও জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে ওই স্থানে তাদের অফিস করতে হচ্ছে। অফিসে আসা লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাধ্য হয়ে তারা অফিসে ঢুকলেও কাজকর্মের ফাঁকে সব সময় তারা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন কখন তাদের গায়ে পাস্টার খসে পড়ছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, গণপূর্ত বিভাগের বরিশাল জেলা অফিসের সাথে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।