আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতাঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়া কৃষি নির্ভর ও শস্যভান্ডার বলে খ্যাত উপজেলায় গত একসপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ। আমন ধান কাটার পরই নিঁচু জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ করতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের পর ইরি-বোরো চাষে কৃষকেরা এখন কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ইরি ব্ল¬কের নিঁচু জমিতে গত এক সপ্তাহ থেকে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকরা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ চাষীরা আগাম ইরি-বোরো চাষের জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ইরি-বোরোর পুরো মৌসুমে সার ও সেচকাজের জন্য সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে চলতি মৌসুমেও ইরি-বোরোতে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আগাম ইরি-বোরো চাষের জন্য ৩ হাজার ২শ’ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়। এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে ৪৬ হাজার ৬৯৩শ’ মে.টন চাল উৎপাদন হবে। ইতোমধ্যে কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষাবাদ শুরু করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ইরি-বোরো ধান চাষ করার বিষয়ে নান্নু ঘরামী, হালান মোল্লা, হেলাল মিয়া, মামুন সরদারসহ একাধিক কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে আমন ধান ঘরে তোলার একসপ্তাহের মধ্যেই তারা তাদের নিঁচু জমিতে আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ইরি-বোরো চাষাবাদে কোন সমস্যা না হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। আমার অফিসের মাঠকর্মীরা মাঠে গিয়ে সব সময় কৃষকদের খবর নিচ্ছে।