আইডিএর বেশিরভাগ ঋণ পাবে বাংলাদেশ

একাত্তরলাইভডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) পরিকল্পিত ৭৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের বেশিরভাগই পাবে বাংলাদেশ।রোববার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয় থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমকে অভ্যর্থনা জানাতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।অর্থমন্ত্রী জানান, এ বছর ৫২ বিলিয়ন ডলার ঋণের বেশিরভাগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর অধিকাংশই সহজ শর্তের ঋণ। আগের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা সেতু নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, এখন তা কেটে গেছে।বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি আগামীকাল ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র বিমোচন দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। সফরকালে তিনি বরিশালে একটি প্রকল্প প্রত্যক্ষ করবেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জিম ইয়ং কিম হবেন বিশ্বব্যাংকের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন। এর আগে ২০০৭ সালের নভেম্বর তৎকালীন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছিলেন। দক্ষিণ কোরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জিম ইয়ং কিম ২০১২ সালের ১ জুলাই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হন।দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম আন্তর্জাতিক দারিদ্র বিমোচন দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোববার বিকেলে এমিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছেন। এই সফরের মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আশা করি, তার এ সফরের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’তিনি বলেন, আমরা আইডিএর মাধ্যমে সহজ শর্তে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা পেয়ে আসছি। অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থার তুলনায় বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছি। আশা করছি, এবারও আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সহায়তা পাব। চলতি বছর বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের মঞ্জুরি সহায়তা পাচ্ছে বলে তিনি জানান।বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের প্রাক্কালে আবাসিক কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো- সুশাসন ও বিনিয়োগ পরিবেশের অগ্রগতির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সফরে নতুন চমক কি থাকছে? এ প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, চমক বলতে তেমন কিছু থাকছে না। তবে এটা ঠিক বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য প্রত্যক্ষ করতে এসেছেন, এটাই বড় চমক। কারণ, তার এ সফরের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশে সাফল্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। এতে আমাদের মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেতে আরো এক ধাপ অগ্রগতি হবে।