অবশেষে আলাদা হলো মিষ্টি চেহারার দুই শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীতে এসেছে মিষ্টি চেহারার দুই শিশু এনিয়াস ও জাডোন ম্যাকডোনাল্ড। কিন্তু পৃথক দুই স্বত্তা তাদের। মিলেমিশে একাকার তাদের আলাদা আলাদা সত্তা।কিন্তু মাথার দিক দিয়ে একত্রিত তারা। আলাদা আলাদা সত্তা হোঁচট খায় ঠিক এই জায়গায়। সেই আলাদা সত্তাকেই আক্ষরিক অর্থেই আলাদা করে ফেললেন চিকিৎসকরা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সুবাদে। জটিল এই অস্ত্রোপচার করা হয় গত বৃহস্পতিবার।সেপ্টেম্বরে শিকাগোতে এই দুই শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর দেখা যায় দুজনের সম্পূর্ণ শরীর আলাদা। কিন্তু মাথার পিছন দিক দিয়ে জোড়া লাগানো।১৩ মাস বয়সের সময় নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে মন্টিফিয়োর হাসপাতালে দুই ভাইকে পৃথক পৃথক স্বত্তায় রূপ দেওয়া হয়। এ জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয় ২০ ঘণ্টা ধরে।অপারেশন করেন ড. জেমস গুডরিচ। অপারেশন শুরু করে মাঝপথে একবার থেমে যান তিনি। প্রবীন এই সার্জন যখন দেখতে পান যে অসংখ্য ব্রেন টিস্যু দিয়ে দুজনের ব্রেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে।অপারেশন করাকালে ছুরির প্রতিটি আচরের সময় এনিয়াসের হৃদপি- ও রক্তের চাপ দ্রুত হ্রাস পায়। তবু নিওরোসার্জন তার কাজ চলিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে পৃথক করেন তিনি শিশু দুটিকে।অপারেশন টেবিল থেকে সকাল ৭টায় জডোনকে তার ওয়ার্ডে নেওয়া। ওদিকে এনিয়াসের অপারেশন চলছিল তখনও। তার অপারেশন শেষ হয় শুক্রবার দুপুর একটায়। চিকিৎসকরা এরই মধ্যে হুঁশিয়ারী উচ্চরণ করেন যে, এনিয়াসের মারাত্বক শারিরীক সমস্যা দেখা দিতে পারে।শিশু দুটির বাবা-মা নিকোল ও ক্রিস্টিয়ান অপারেশনের পুরো সময় বসেছিলেন বিশ্রামাগারে। ৩১ বছর বয়স্ক নিকোল শুক্রবার ফেসবুক খুলে বসেন। অপারেশনের পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন তাদের কাছে, যারা তাদের এই জমজ সন্তানের বিষয়ে প্রথম থেকেই অবগত ছিলেন। দম্পতিটি থাকেন ইলিনয়ের শিকাগোতে।নিকোল বলেন, ‘সার্জন রুম ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমি কাঁদিনি। আমি এমন কি, কথাও বলতে পারিনি। আমরা আসলে বিশাল একটি অনিশ্চয়তার মুখে দাড়িয়েছিলাম।