অনলাইন ডেস্ক: অদ্ভূদ এক ধরনের মানব শিশুর জন্ম হয়েছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায়। শিশুটিকে দেখলে মনে হবে তার তিনটি মাথা রয়েছে। বুধবার ভোরে উপজেলার ফাতেমা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।
শিশুটির মায়ের নাম রেহেনা আক্তার। তিনি ঝালকাঠী জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া গ্রামের মামুন হাওলাদারের স্ত্রী।
শিশুটির দাদা শাহজাহান হাওলাদার জানান, ভোরে প্রসব বেদনা নিয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ফাতেমা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি হন রেহেনা আক্তার। পরে সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর দেখা যায় শিশুটি তিন মাথা আকৃতির। বিশেষ অঙ্গ নেই। চোখ দুটো পাশাপাশি কপালের মধ্যে। হাত দুটো বাকা। ওজন হয় তিন কেজি ৭ শত গ্রাম। জম্মের পর থেকে শিশুটি অনেকটা অসুস্থ।
তিনি আরো জানান, চার বছর আগে রেহেনা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় মামুন হাওলাদারের। এটি তাদের প্রথম সন্তান। শিশুটির জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়লে ফাতেমা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে শিশুটিকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, অদ্ভূত আকৃতির জন্ম নেয়া এ শিশুটি হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত